স্বাধীনতা কবিতার প্রশ্ন উত্তর
স্বাধীনতা - ল্যাংস্টন হিউজ
মৃত্যুর পরে তো আমার কোনো স্বাধীনতার প্রয়োজন হবে না তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উদ্ধৃত অংশটি ল্যাংস্টন হিউজের লেখা 'স্বাধীনতা' কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধৃত পঙক্তিতে স্বাধীনতা ও স্বাধীনতার আশ্বাস দানের মধ্যে পার্থক্য দেখানো হয়েছে। কবি বলতে চাইছেন পরাধীন মানুষকে তার জীবৎকালের মধ্যেই স্বাধীনতা দিতে হবে। কারণ স্বাধীনতা মানুষের জীবনকে পূর্ণরূপে বিকশিত হতে সাহায্য করে। মৃত্যুর পর স্বাধীনতা আর কোনও কাজে লাগে না।
তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো "স্বাধীনতা একটা শক্তিশালী বীজপ্রবাহ"।
উদ্ধৃত অংশটি ল্যাংস্টন হিউজের লেখা স্বাধীনতা কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
স্বাধীনতা প্রতিটি মানুষের জন্মগত অধিকার। প্রকৃত স্বাধীনতা ছাড়া মানুষের ব্যক্তিত্ব ও জীবন বিকশিত হতে পারে না। স্বাধীনতা ছাড়া মনুষ্যত্ব তার পূর্ণ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনা। স্বাধীনতা শক্তির এক এমন প্রবাহ, যে প্রবাহ মানুষকে এক প্রজন্ম থেকে অপর প্রজন্মে উত্তীর্ণ হতে সাহায্য করে। উদ্ধৃত অংশে কবি এ কথাই বলতে চেয়েছেন।
পরাধীন মানুষের স্বাধীনতা পাওয়ার পথ গুলি কী কী?
স্বাধীনতা হল মানুষের জন্মগত অধিকার। অধিকার কেউ হাতে তুলে দেয় না, তাকে ছিনিয়ে নিতে হয়। স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পরাধীন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামই হল স্বাধীনতা লাভের একমাত্র পন্থা। তবে এই সংগ্রামের অনেক রকমফের রয়েছে। যেমন অহিংস আন্দোলন, সশস্ত্র বিপ্লব, সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন এবং গণঅভ্যুত্থান বা বিদ্রোহ।
স্বাধীনতা বলতে কী বোঝ? কী কী বিষয়ে মানুষের স্বাধীনতা প্রয়োজন বলে তুমি মনে করো?
স্বাধীনতা বলতে বোঝায় নিজের অধীনতা। অর্থাৎ সহজ ভাষায় বলা যায় স্বাধীনতা বলতে বোঝায় অপরের অন্যায় নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত থাকা।
যে যে বিষয়ে প্রতিটি মানুষের স্বাধীনতা থাকা উচিত সেগুলি হল: কথা বলার স্বাধীনতা, শিক্ষা লাভের স্বাধীনতা, সৎ পথে উপার্জন করার স্বাধীনতা, দেশের সর্বত্র চলাফেরা করা ও বসবাসের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, নিজের ইচ্ছে মত সংস্কৃতি পালনের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রভৃতি।
স্বাধীনতা কবিতাটির মধ্যে দুটি পক্ষ আছে 'আমি পক্ষ' আর 'তুমি পক্ষ'। এই 'আমি পক্ষ' আর 'তুমি পক্ষ'-এর স্বরূপ বিশ্লেষণ করো। এই ক্ষেত্রে 'সে পক্ষ' নেই কেন?
স্বাধীনতা কবিতার কবি ল্যাংস্টন হিউজ শোষিত, নিপীড়িত, পরাধীন মানুষের পক্ষে কলম ধরেছেন। এই কবিতার লক্ষ্য হল শোষক শ্রেণি। তাই এই কবিতায় দুটি পক্ষ তৈরি হয়ে গেছে। কবিতায় আমি পক্ষ হল সো স্বীত পরাধীন মানুষের পক্ষ আর তুমি পক্ষ হলো শোষক সাম্রাজ্যবাদী শ্রেণির পক্ষ। একদম শোষণ করে অন্য দল শোষিত হয়।
মানুষের এই দুটিই শ্রেণি। একটি শ্রেণি শোষণ করে অন্য শ্রেণি শোষিত হয়। এর বাইরে তৃতীয় কোনো শ্রেণি নেই। তাই এই কবিতায় কোনো 'সে পক্ষ' নেই।
সোমনাথ
ReplyDeleteJlkhr cht
ReplyDelete