গড়াই নদীর তীরে কাব্যাংশে প্রকৃতিচিত্র কীভাবে উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে
গড়াই নদীর তীরে কবিতার প্রকৃতি-চিত্র
পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের লেখা গড়াই নদীর তীরে কবিতাটি একটি প্রকৃতি-কেন্দ্রিক কবিতা। এই কবিতায় নদী-তীরবর্তী একখানি কুটিরের ছবি আঁকা হয়েছে। সামনে উঠোনের কোণে নানা ধরনের ফুল ফুটে আছে এবং পাশেই রয়েছে সিমলতা ও লাউ কুমড়োর মাচা। তারা যেন প্রতিযোগিতা করে নিজেদের ফুলগুলি দোলাতে থাকে। লাল নটে শাক দেখে মনে হয় যেন লাল রঙের একখান শাড়ি মেলা রয়েছে। ডাহুক পাখিরা তাদের ছোট ছোট ছানা নিয়ে এই কুটিরের পাশে বেড়াতে আসে। গাছের ডালে পাখিরা এমন ভাবে নির্ভয়ে গান করে, যেন এখানে মানুষ বাস করে না। উঠোনে যত্ন করে মেলা রয়েছে বিভিন্ন রং এর ডাল ও মসলা। দেখে মনে হচ্ছে যেন কেউ নানা রঙ এর আলপনা এঁকেছে। সেই আলপনার মধ্যে যেন একখানি সুখের গল্প লেখা রয়েছে। সন্ধ্যে সকালের মেঘেরা এখানে বেড়াতে এসে কিছুক্ষণ যেন এখানেই রয়ে যায়। এ বাড়ির ভালোবাসার বন্ধনে বাঁধা পড়ে।
এমনই এক জীবন্ত বর্ণনার মধ্য দিয়ে পল্লীকবি জসীমউদ্দীন গ্রাম বাংলার সবুজ ও সজীব প্রকৃতিকে উদ্ভাসিত করে তুলেছেন এই কবিতায়।
পাড়াগাঁর দুপহর ভালোবাসি কবিতায় গ্রামজীবনের প্রতি কবির অনুভূতি
Comments
Post a Comment