আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর
আফ্রিকা: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
"স্রষ্টা যখন নিজের প্রতি অসন্তোষে নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত" -- কোন সময়ের কথা বলা হয়েছে? নতুন সৃষ্টি কী? তাকে বারবার বিধ্বস্ত করার কারণ কী?
উদ্ধৃত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা আফ্রিকা কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধৃত অংশে পৃথিবী সৃষ্টির আদিম কালের কথা বলা হয়েছে।
নতুন সৃষ্টি বলতে নবগঠিত পৃথিবীকে বোঝানো হয়েছে।
নতুন পৃথিবীকে সৃষ্টি করার সময় নতুন পৃথিবী স্রষ্টার মনোমত হচ্ছিল না, তাই তাকে তিনি বারবার ভাঙছিলেন ও নতুন করে গড়ছিলেন।
'আফ্রিকা' কবিতার নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের প্রাক্কালে কবি অমিয় চক্রবর্তীর অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'আফ্রিকা' কবিতাটি রচনা করেন। এখন আমরা আলোচনা করে দেখব কবিতাটির নামকরণ কতখানি সার্থক হয়েছে।
আফ্রিকা কবিতার বিষয়বস্তুর দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায় এই কবিতায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আফ্রিকা মহাদেশের কথাই বলা হয়েছে। আফ্রিকা মহাদেশের জন্ম থেকে শুরু করে এক ভয়ানক মহাদেশ রূপে আফ্রিকার উত্থান ও বিকাশের কথা কবিতায় বর্ণিত হয়েছে। তারপর ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী বণিক শক্তির হাতে আফ্রিকাবাসীর নির্যাতিত হওয়ার কথা কবিতায় স্থান পেয়েছে। এই কবিতায় আফ্রিকাকে শুধুমাত্র একটি মহাদেশ হিসেবে নয়, বরং এক নারী হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে। এই নারী শ্বেতাঙ্গদের হাতে লাঞ্ছিতা ও নির্যাতিতা। ইউরোপীয় বণিকদের হাতে একদা মহীয়সী ও গরীয়সী এই নারী অপমানিতা হয়েছেন। তাঁর অপমানের কথাই এই কবিতায় মূল উপজীব্য বিষয় হয়ে উঠেছে। আফ্রিকাই হয়ে উঠেছে এই কবিতার কেন্দ্রীয় ভাব ও কেন্দ্রীয় চরিত্র। তাই বলা যায় এই কবিতাটির নামকরণ সম্পূর্ণ সার্থক হয়েছে।
Comments
Post a Comment