পরবাসী কবিতার প্রশ্ন উত্তর
পরবাসী কবিতার সারাংশ
বিষ্ণু দে-র লেখা পরবাসী কবিতায় একশ্রেণির মানুষের লোভের কবলে পড়ে প্রকৃতি ও সাধারণ মানুষের অসহায়তার কথা তুলে ধরেছেন। কবিতার প্রথম তিন স্তবকে কবি তুলে ধরেছেন বন্য প্রকৃতির ছন্দোময় প্রতিচ্ছবি। বনভূমির অপরূপ সৌন্দর্য, বন্য প্রাণের প্রাণচাঞ্চল্য ও ছন্দোময়তা এই তিন স্তবকের উপজীব্য বিষয়। পরের দুই স্তবকে কবি তুলে ধরেছেন এ দেশের বাস্তবতা। এদেশে বনভূমি ধ্বংস হচ্ছে, বন্যপ্রাণী পণ্যে পরিণত হয়েছে, অথচ সভ্যতারও অগ্রগতি ঘটছে না। এখানে সবাই অসহায়। সাধারণ মানুষ যেন প্রকৃতির মতোই অসহায় ও নির্বাক। বনভূমি, পাহাড়, বন্য প্রাণী, সাধারণ মানুষ, সকলেই নিজভূমে পরবাসী। যে দেশের স্বপ্ন কবি দেখেন, সেই সত্যিকারে নিজ বাসভূমি আজ আর নেই।
পরবাসী কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর
"ময়ূর মরেছে পণ্যে" এই কথার অন্তর্নিহিত অর্থ কী?
উদ্ধৃত অংশটি বিষ্ণু দের লেখা পরবাসী কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধৃতাংশ ময়ূর শুধুমাত্র একটি পাখি নয়, ময়ূর এখানে সমগ্র বন্যপ্রাণের প্রতিনিধি। মানুষের লোভের শিকার হয়ে বন্যপ্রাণীরা পরিণত হয়েছে বাণিজ্যিক পণ্যে। প্রকৃতির মধ্যে বন্যপ্রাণীদের জীবন বিকশিত হওয়ার ফলে যে সৌন্দর্য ও ভারসাম্য প্রকৃতিকে সুস্থ রাখে, একশ্রেণীর মানুষের লোভের কারণে তা হতে পারে না।
কবি নিজেকে পরবাসী বলেছেন কেন?
পরবাসী কবিতায় কবি বিষ্ণু দে সাধারণ দেশবাসীর প্রতিনিধি হয়ে কথা বলেছেন। একশ্রেণীর মানুষের সীমাহীন লোভের কারণে বন্যপ্রাণ ও অরণ্য প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে। অপরদিকে দেশের সাধারণ মানুষও বিভিন্নভাবে শোষিত হচ্ছে। এদেশের বনভূমি, বন্যপ্রাণ ও সাধারণ মানুষ সবাই সমানভাবে অসহায়। সবাই অস্তিত্বের জন্য লড়াই করছে। প্রত্যেকেই যেন নিজভূমে পরবাসী। প্রকৃতি বন্যপ্রাণ ও মানুষ এই তিনের সম্মিলিত অসহায়তার কথা বোঝানোর জন্যই কবি নিজেকে পরবাসী বলেছেন।
Wow nice work 😁😀
ReplyDelete