পল্লীসমাজ রচনার প্রশ্ন উত্তর

 পল্লীসমাজ

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়


৪.১ "ন‌ইলে আর ব্যাটাদের ছোটোলোক বলেচে কেন" -- বক্তা কে? এই এই উক্তির মধ্য দিয়ে বক্তার চরিত্রের কি পরিচয় পাও

উত্তর: উদ্ধৃত অংশটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা পল্লীসমাজ রচনায় আছে। উদ্ধৃত কথাগুলির বক্তা হলেন জমিদার বেণী ঘোষাল।

বেণী ঘোষালের এই উক্তি থেকে তাঁর চরিত্রের বৈশিষ্ট্য খুব স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে। এই উক্তিতে বেনি বাবুর অহংকার ও গরিব মানুষদের প্রতি সহানুভূতিহীন মানসিকতা ধরা পড়েছে। সমাজের গরিব মানুষরাও যে মানবিক আচরণ লাভ করার অধিকারী বেণীবাবু বিশ্বাস করেন না।


৪.২ বেণী রমা ও রমেশ চরিত্র তিনটির তুলনামূলক আলোচনা করো সেই সঙ্গে এই তিনটি চরিত্রের মধ্যে কোন চরিত্রটি তোমার সব থেকে ভালো লেগেছে এবং কেন তা জানাও।

উত্তর: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা পল্লীসমাজ উপন্যাসের তিনটি প্রধান চরিত্র রমা, রমেশ ও বেণী। আমাদের পাঠ্য অংশে এই তিনটি চরিত্র‌ই উপস্থিত রয়েছে। পাঠ্যাংশের ক্ষুদ্র পরিসরে এই তিনটি চরিত্রকে বেশ ভালোভাবেই চেনা যায়। 

বেণী: বিনি ঘোষাল একজন অত্যাচারী জমিদার। প্রজাদের বিপদে সাহায্য করার পরিবর্তে তিনি সুযোগ খোঁজেন। তিনি জানেন প্রজারা নিঃস্ব হলে বেঁচে থাকার জন্য তাঁর কাছেই জমি বন্ধক রেখে ধার করতে আসবে। তাঁর কাছে মানুষের প্রাণের চেয়ে টাকার দাম বেশি।

রমা: অপরদিকে রমা চরিত্রটি তুলনামূলকভাবে একটু জটিল। রমেশ রমাকে ভুল বুঝেছে। তাকে সে অপমান করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রমা চায়নি যে রমেশের শাস্তি হোক। সাময়িক উত্তেজনার বশে রমেশ এর বিরুদ্ধে গেলেও রমা আসলে নিষ্ঠুর ও অত্যাচারী নয়। 

রমেশ: পল্লীসমাজ উপন্যাসের নায়ক চরিত্র রমেশ। দয়া মায়া কর্তব্যবোধ ভালোবাসা ও তেজস্বিতার সম্মিলিত প্রতিমূর্তি রমেশ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যতখানি দৃঢ় মানুষের দুঃখে ততখানিই কাতর সে। 

এ কথা বলা বাহুল্য যে রমেশ চরিত্রটি আমার সবথেকে ভালো লেগেছে। এবং তাকে ভালো লাগার প্রধান কারণ হলো প্রজাদের প্রতি তার দয়া মায়া, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানসিকতা এবং সর্বোপরি তার পৌরুষ ও বীরত্ব।

Comments

Post a Comment

Popular Posts