মাধ্যমিক ব্যাকরণের ছোটো প্রশ্ন
বাংলা ব্যাকরণের ছোট প্রশ্ন
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য এই পোস্টে বাংলা ব্যাকরণের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর সন্নিবিষ্ট করা হল। এই প্রশ্নোত্তরগুলিকে মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণের সাজেশন হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।
কারক থেকে ছোট প্রশ্ন ও উত্তর
"ক্রিয়ান্বয়ী কারকম্" কথাটি কে বলেছেন?
উত্তর: কথাটি বলেছেন সংস্কৃত ব্যাকরণের আদি গুরু পাণিনি।
কারক কথাটির ব্যুৎপত্তি কী?
উত্তর: √কৃ+ণক্
কারক কথাটির আক্ষরিক অর্থ কী?
উত্তর: কারক কথাটির আক্ষরিক অর্থ 'যে করে'।
কারক কাকে বলে?
উত্তর: বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের সম্পর্কের নাম কারক।
বিভক্তি শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: বিভক্তি শব্দের অর্থ বিভাজন।
বিভক্তি কাকে বলে?
উত্তর: যে ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ শব্দ ও ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদেরকে পদে পরিণত করে, তাকে বিভক্তি বলে।
নির্দেশক কাকে বলে? নির্দেশক কয় প্রকার?
উত্তর: যে ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ শব্দ বা পদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বচন নির্দেশ করে ও নির্দিষ্টতা প্রকাশ করে তাকে নির্দেশক বলে। নির্দেশক দুই প্রকার: পদাশ্রিত নির্দেশক ও শব্দাশ্রিত নির্দেশক।
বিভক্তি ও নির্দেশকের পার্থক্য কী?
উত্তর: বিভক্তি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দকে পদে পরিণত করে। নির্দেশক শব্দ বা পদের সাথে যুক্ত হয়ে বচন নির্দেশ করে ও নির্দিষ্টতা প্রকাশ করে।
বিভক্তি কাকে বলে?
উত্তর: যে ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ শব্দ ও ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদেরকে পদে পরিণত করে, তাকে বিভক্তি বলে।
নির্দেশক কাকে বলে? নির্দেশক কয় প্রকার?
উত্তর: যে ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ শব্দ বা পদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বচন নির্দেশ করে ও নির্দিষ্টতা প্রকাশ করে তাকে নির্দেশক বলে। নির্দেশক দুই প্রকার: পদাশ্রিত নির্দেশক ও শব্দাশ্রিত নির্দেশক।
বিভক্তি ও নির্দেশকের পার্থক্য কী?
উত্তর: বিভক্তি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দকে পদে পরিণত করে। নির্দেশক শব্দ বা পদের সাথে যুক্ত হয়ে বচন নির্দেশ করে ও নির্দিষ্টতা প্রকাশ করে।
অনুসর্গ প্রধান কারক কোনগুলি?
উত্তর: করণ, নিমিত্ত ও অপাদান কারক হল অনুসর্গ প্রধান কারক।
বিভক্তি প্রধান কারক কোনগুলি?
উত্তর: কর্তৃৃকারক, কর্ম কারক ও অধিকরণ কারক, এই তিনটি কারক হল বিভক্তি প্রধান কারক।
অনুক্ত কর্তার উদাহরণ দাও।
উত্তর: আমার যাওয়া হবে না।
সমধাতুজ কর্তার উদাহরণ দাও।
উত্তর: খেলোয়াড় খেলছে।
মুখ্য কর্ম কাকে বলে?
উত্তর: একই ক্রিয়ার দুটি কর্মের মধ্যে একটি জড়বাচক ও অন্যটি প্রাণীবাচক হলে জড়াবাচক কর্মটিকে মুখ্য কর্ম বলে।
গৌণ কর্ম কাকে বলে?
উত্তর: একই ক্রিয়ার দুটি কর্মের মধ্যে একটি জড়বাচক ও অন্যটি প্রাণীবাচক হলে প্রাণীবাচক কর্মটিকে গৌণ কর্ম বলে।
সমধাতুজ কর্মের উদাহরণ দাও।
উত্তর: দারুণ খেলা খেলল।
উত্তর: করণ, নিমিত্ত ও অপাদান কারক হল অনুসর্গ প্রধান কারক।
বিভক্তি প্রধান কারক কোনগুলি?
উত্তর: কর্তৃৃকারক, কর্ম কারক ও অধিকরণ কারক, এই তিনটি কারক হল বিভক্তি প্রধান কারক।
অনুক্ত কর্তার উদাহরণ দাও।
উত্তর: আমার যাওয়া হবে না।
সমধাতুজ কর্তার উদাহরণ দাও।
উত্তর: খেলোয়াড় খেলছে।
মুখ্য কর্ম কাকে বলে?
উত্তর: একই ক্রিয়ার দুটি কর্মের মধ্যে একটি জড়বাচক ও অন্যটি প্রাণীবাচক হলে জড়াবাচক কর্মটিকে মুখ্য কর্ম বলে।
গৌণ কর্ম কাকে বলে?
উত্তর: একই ক্রিয়ার দুটি কর্মের মধ্যে একটি জড়বাচক ও অন্যটি প্রাণীবাচক হলে প্রাণীবাচক কর্মটিকে গৌণ কর্ম বলে।
সমধাতুজ কর্মের উদাহরণ দাও।
উত্তর: দারুণ খেলা খেলল।
সমধাতুজ কর্মের অপর নাম কী?
উত্তর: সমধাতুজ কর্মের অপর নাম ধাত্বর্থক কর্ম।
উপবাক্যীয় কর্মের উদাহরণ দাও।
উত্তর: আমি দেখলাম লোকটা চলে যাচ্ছে।
লক্ষণাত্মক করণের উদাহরণ দাও।
উত্তর: শিকারী বেড়াল গোঁফে চেনা যায়।
কালাত্মক করণের উদাহরণ দাও।
উত্তর: বইটা একদিনে পড়ে শেষ করলাম।
অঙ্গবিকারমূলক করণের উদাহরণ দাও।
উত্তর: লোকটা কানে কালা।
অভিপ্রায় নিমিত্ত কারকের উদাহরণ দাও।
উত্তর: চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলাম।
ফলভোগী নিমিত্ত কারকের উদাহরণ দাও।
উত্তর: তোমার জন্য নতুন জামা আনবো।
নিমিত্ত কারকে 'কে' বিভক্তির প্রয়োগ দেখাও।
উত্তর: গ্রামের মেয়েরা জলকে গেছে।
দূরত্ববাচক অপাদানের উদাহরণ দাও।
উত্তর: কলকাতা থেকে হাওড়া বেশি দূরে নয়।
অবস্থানবাচক অপাদানের উদাহরণ দাও।
উত্তর: সে আমাকে ছাদ থেকে ডাকছে।
রূপান্তরমূলক বা বিকৃতিমূলক অপাদানের উদাহরণ দাও।
উত্তর: দুধ থেকে দই হয়।
উৎসবাচক অপাদানের উদাহরণ দাও।
উত্তর: ঝর্ণা থেকে জল আনবো।
তুলনাবাচক অপাদানের উদাহরণ দাও।
উত্তর: রামের চেয়ে শ্যাম বড়ো।
অপাদান কারকে 'এ' বিভক্তির প্রয়োগ দেখাও।
উঃ- কালো মেঘে বৃষ্টি হয়।
সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদ কারক নয় কেন?
উঃ- সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদের সাথে ক্রিয়া পদের সরাসরি সম্পর্ক থাকে না, তাই এদের কারক বলা যায় না।
একটি ভাবাধিকরণের উদাহর দাও।
উঃ- তিনি শোকে মগ্ন হলেন।
অধিকরণ কারকে অনুসর্গের ব্যবহার দেখাও।
উঃ- রাজপুত গুহার মধ্যে প্রবেশ করিলেন।
অধিকরণ কারকে শূন্য বিভক্তির প্রয়োগ দেখাও।
উঃ- বাবা বাড়ি নেই।
ঐকদেশিক স্থানাধিকরণের উদাহরণ দাও।
উঃ- রামবাবু কলকাতায় থাকেন।
ব্যাপ্তিসূচক স্থানাধিকরণের উদাহরণ দাও।
উঃ- সমুদ্রের জলে নুন আছে।
মুহূর্তাধিকরণের উদাহরণ দাও।
উঃ- সে আজ সকালে এসেছে।
ব্যাপ্তাধিকরণের উদাহরণ দাও।
উঃ- গতবছর ভালো বৃষ্টি হয়েছিল।
ব্যাপ্তিসূচক কালাধিকরণের উদাহরণ দাও।
উঃ সকালে আমি পড়ছিলাম
নৈকট্যসূচক স্থানাধিকরণের উদাহরণ দাও।
উঃ- দরজায় গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে।
মা, আমাকে জল দাও। -- 'মা' কোন কারক/অকারক?
উঃ- সম্বোধন পদ।
অকারক পদ কয়টি ও কী কী?
উঃ- অকারক পদ দুটি। সম্বন্ধ ও সম্বোধন পদ।
অনুসর্গের অপর নাম কী?
উঃ- কর্মপ্রবচনীয়, পরসর্গ, সম্বন্ধীয়
ক্রিয়াজাত অনুসর্গের উদাহরণ দাও।
উঃ- চেয়ে, থেকে, দিয়ে, দিয়া, হইতে, হতে, করে
তিলে তেল হয়। 'তিলে' কোন কারক?
উঃ - অপাদান কারক।
তিলে তেল আছে। 'তিলে' কোন কারক?
উঃ - অধিকরণ কারক।
উপবাক্যীয় কর্মের উদাহরণ দাও।
উত্তর: আমি দেখলাম লোকটা চলে যাচ্ছে।
লক্ষণাত্মক করণের উদাহরণ দাও।
উত্তর: শিকারী বেড়াল গোঁফে চেনা যায়।
কালাত্মক করণের উদাহরণ দাও।
উত্তর: বইটা একদিনে পড়ে শেষ করলাম।
অঙ্গবিকারমূলক করণের উদাহরণ দাও।
উত্তর: লোকটা কানে কালা।
অভিপ্রায় নিমিত্ত কারকের উদাহরণ দাও।
উত্তর: চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলাম।
ফলভোগী নিমিত্ত কারকের উদাহরণ দাও।
উত্তর: তোমার জন্য নতুন জামা আনবো।
নিমিত্ত কারকে 'কে' বিভক্তির প্রয়োগ দেখাও।
উত্তর: গ্রামের মেয়েরা জলকে গেছে।
দূরত্ববাচক অপাদানের উদাহরণ দাও।
উত্তর: কলকাতা থেকে হাওড়া বেশি দূরে নয়।
অবস্থানবাচক অপাদানের উদাহরণ দাও।
উত্তর: সে আমাকে ছাদ থেকে ডাকছে।
রূপান্তরমূলক বা বিকৃতিমূলক অপাদানের উদাহরণ দাও।
উত্তর: দুধ থেকে দই হয়।
উৎসবাচক অপাদানের উদাহরণ দাও।
উত্তর: ঝর্ণা থেকে জল আনবো।
তুলনাবাচক অপাদানের উদাহরণ দাও।
উত্তর: রামের চেয়ে শ্যাম বড়ো।
অপাদান কারকে 'এ' বিভক্তির প্রয়োগ দেখাও।
উঃ- কালো মেঘে বৃষ্টি হয়।
সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদ কারক নয় কেন?
উঃ- সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদের সাথে ক্রিয়া পদের সরাসরি সম্পর্ক থাকে না, তাই এদের কারক বলা যায় না।
একটি ভাবাধিকরণের উদাহর দাও।
উঃ- তিনি শোকে মগ্ন হলেন।
অধিকরণ কারকে অনুসর্গের ব্যবহার দেখাও।
উঃ- রাজপুত গুহার মধ্যে প্রবেশ করিলেন।
অধিকরণ কারকে শূন্য বিভক্তির প্রয়োগ দেখাও।
উঃ- বাবা বাড়ি নেই।
ঐকদেশিক স্থানাধিকরণের উদাহরণ দাও।
উঃ- রামবাবু কলকাতায় থাকেন।
ব্যাপ্তিসূচক স্থানাধিকরণের উদাহরণ দাও।
উঃ- সমুদ্রের জলে নুন আছে।
মুহূর্তাধিকরণের উদাহরণ দাও।
উঃ- সে আজ সকালে এসেছে।
ব্যাপ্তাধিকরণের উদাহরণ দাও।
উঃ- গতবছর ভালো বৃষ্টি হয়েছিল।
ব্যাপ্তিসূচক কালাধিকরণের উদাহরণ দাও।
উঃ সকালে আমি পড়ছিলাম
নৈকট্যসূচক স্থানাধিকরণের উদাহরণ দাও।
উঃ- দরজায় গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে।
মা, আমাকে জল দাও। -- 'মা' কোন কারক/অকারক?
উঃ- সম্বোধন পদ।
অকারক পদ কয়টি ও কী কী?
উঃ- অকারক পদ দুটি। সম্বন্ধ ও সম্বোধন পদ।
অনুসর্গের অপর নাম কী?
উঃ- কর্মপ্রবচনীয়, পরসর্গ, সম্বন্ধীয়
ক্রিয়াজাত অনুসর্গের উদাহরণ দাও।
উঃ- চেয়ে, থেকে, দিয়ে, দিয়া, হইতে, হতে, করে
তিলে তেল হয়। 'তিলে' কোন কারক?
উঃ - অপাদান কারক।
তিলে তেল আছে। 'তিলে' কোন কারক?
উঃ - অধিকরণ কারক।
মাধ্যমিক ২০২১ এর জন্য সকল বিষয়ের সাজেশন বই কিনতে এখানে ক্লিক করো।
কারক সম্পর্কে বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করো।
সমাস থেকে ছোট প্রশ্ন ও উত্তর
সমাস কথার আক্ষরিক অর্থ কী?
উঃ সমাস কথার আক্ষরিক অর্থ সংক্ষেপ।
ব্যাস কথার আক্ষরিক অর্থ কী?
উঃ ব্যাস কথার আক্ষরিক অর্থ বিস্তার।
ব্যাসবাক্যের অপর নাম কী?
উঃ ব্যাসবাক্যের অপর নাম বিগ্রহবাক্য।
পূর্বপদ প্রধান সমাস কোনটি?
উঃ পূর্বপদ প্রধান সমাস হল অব্যয়ীভাব।
পরপদ প্রধান সমাস কোনগুলি?
উঃ পরপদ প্রধান সমাস হল তৎপুরুষ, কর্মধারয়, দ্বিগু ও নিত্য সমাস।
অন্যপদ প্রধান সমাস কোনটি?
উঃ অন্যপদ প্রধান সমাস হল বহুব্রীহি।
উভয়পদ প্রধান সমাস কোনটি?
উঃ উভয়পদ প্রধান সমাস হল দ্বন্দ্ব।
বহুব্রীহি কথার অর্থ কী?
উঃ বহুব্রীহি কথার অর্থ হল বহু ব্রীহি (ধান) যার।
তৎপুরুষ কথার অর্থ কী?
উঃ তৎপুরুষ কথার অর্থ: তস্য পুরুষ বা তার পুরুষ।
তৎপুরুষ সমাসের নাম তৎপুরুষ কেন?
উঃ 'তৎপুরুষ' কথাটি তৎপুরুষ সমাসের একটি আদর্শ উদাহরণ। তাই এই উদাহরণটি দিয়েই সমাসের নামকরণ করা হয়েছে।
অলোপ সমাসের একটি উদাহরণ দাও।
উঃ তেলে ভাজা = তেলেভাজা।
বর্ণনামূলক সমাস কোনটি?
উঃ বর্ণনামূলক সমাস বলা হয় বহুব্রীহি সমাসকে।
সংযোগমূলক সমাস কাকে বলে?
উঃ দ্বন্দ্ব সমাসে একাধিক পদের সংযোগ ঘটে বলে এই সমাসকে সংযোগমূলক সমাস বলে।
আশ্রয়মূলক সমাস কোনগুলি?
উঃ তৎপুরুষ ও কর্মধারয় সমাসকে আশ্রয়মূলক সমাস বলে।
কোন সমাসের ব্যাসবাক্য করা যায় না?
উঃ নিত্য সমাসের ব্যাসবাক্য করা যায় না।
নিত্য সমাস কয় প্রকার?
উঃ নিত্য সমাস দুই প্রকার: অবিগ্রহ নিত্য সমাস ও অ-স্বপদবিগ্রহ নিত্য সমাস।
সমাস -এর বিপরীত শব্দ কী?
উঃ সমাসের বিপরীত শব্দ হল ব্যাস।
ব্যাসবাক্য কাকে বলে?
উঃ যে বাক্যাংশের দ্বারা সমস্যমান পদগুলির অর্থের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করা হয়, তাকে ব্যাসবাক্য বলে।
সমস্যমান পদ কাকে বলে?
উঃ সমাসে যে পদগুলি মিলিত হয় তাদের সমস্যমান পদ বলে।
সমস্তপদ কাকে বলে?
উঃ সমস্যমান পদগুলির মিলনে যে নতুন পদ গঠিত হয়, তাকে সমস্তপদ বা সমাসবদ্ধ পদ বলে।
একশেষ দ্বন্দ্ব কাকে বলে? একশেষ দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ দাও।
উঃ যে দ্বন্দ্ব সমাসে সমস্যমান পদগুলির মধ্যে একটি অবশিষ্ট থাকে এবং বাকিগুলি লোপ পায়, তাকে একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস বলে। উদাহরণ: আমি, তুমি ও সে = আমরা।
সমার্থক দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ দাও।
উঃ বন ও জঙ্গল = বনজঙ্গল।
বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ দাও।
উঃ আকাশ ও পাতাল = আকাশ-পাতাল।
সহচর দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ দাও
উঃ টেবিল ও চেয়ার = টেবিল-চেয়ার।
উপপদ কাকে বলে?
উঃ কৃদন্ত পদের পূর্ববর্তী নামপদকে উপপদ বলে। উপপদ তৎপুরুষ সমাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করো।
উঃ সমাস কথার আক্ষরিক অর্থ সংক্ষেপ।
ব্যাস কথার আক্ষরিক অর্থ কী?
উঃ ব্যাস কথার আক্ষরিক অর্থ বিস্তার।
ব্যাসবাক্যের অপর নাম কী?
উঃ ব্যাসবাক্যের অপর নাম বিগ্রহবাক্য।
পূর্বপদ প্রধান সমাস কোনটি?
উঃ পূর্বপদ প্রধান সমাস হল অব্যয়ীভাব।
পরপদ প্রধান সমাস কোনগুলি?
উঃ পরপদ প্রধান সমাস হল তৎপুরুষ, কর্মধারয়, দ্বিগু ও নিত্য সমাস।
অন্যপদ প্রধান সমাস কোনটি?
উঃ অন্যপদ প্রধান সমাস হল বহুব্রীহি।
উভয়পদ প্রধান সমাস কোনটি?
উঃ উভয়পদ প্রধান সমাস হল দ্বন্দ্ব।
বহুব্রীহি কথার অর্থ কী?
উঃ বহুব্রীহি কথার অর্থ হল বহু ব্রীহি (ধান) যার।
তৎপুরুষ কথার অর্থ কী?
উঃ তৎপুরুষ কথার অর্থ: তস্য পুরুষ বা তার পুরুষ।
তৎপুরুষ সমাসের নাম তৎপুরুষ কেন?
উঃ 'তৎপুরুষ' কথাটি তৎপুরুষ সমাসের একটি আদর্শ উদাহরণ। তাই এই উদাহরণটি দিয়েই সমাসের নামকরণ করা হয়েছে।
অলোপ সমাসের একটি উদাহরণ দাও।
উঃ তেলে ভাজা = তেলেভাজা।
বর্ণনামূলক সমাস কোনটি?
উঃ বর্ণনামূলক সমাস বলা হয় বহুব্রীহি সমাসকে।
সংযোগমূলক সমাস কাকে বলে?
উঃ দ্বন্দ্ব সমাসে একাধিক পদের সংযোগ ঘটে বলে এই সমাসকে সংযোগমূলক সমাস বলে।
আশ্রয়মূলক সমাস কোনগুলি?
উঃ তৎপুরুষ ও কর্মধারয় সমাসকে আশ্রয়মূলক সমাস বলে।
কোন সমাসের ব্যাসবাক্য করা যায় না?
উঃ নিত্য সমাসের ব্যাসবাক্য করা যায় না।
নিত্য সমাস কয় প্রকার?
উঃ নিত্য সমাস দুই প্রকার: অবিগ্রহ নিত্য সমাস ও অ-স্বপদবিগ্রহ নিত্য সমাস।
সমাস -এর বিপরীত শব্দ কী?
উঃ সমাসের বিপরীত শব্দ হল ব্যাস।
ব্যাসবাক্য কাকে বলে?
উঃ যে বাক্যাংশের দ্বারা সমস্যমান পদগুলির অর্থের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করা হয়, তাকে ব্যাসবাক্য বলে।
সমস্যমান পদ কাকে বলে?
উঃ সমাসে যে পদগুলি মিলিত হয় তাদের সমস্যমান পদ বলে।
সমস্তপদ কাকে বলে?
উঃ সমস্যমান পদগুলির মিলনে যে নতুন পদ গঠিত হয়, তাকে সমস্তপদ বা সমাসবদ্ধ পদ বলে।
একশেষ দ্বন্দ্ব কাকে বলে? একশেষ দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ দাও।
উঃ যে দ্বন্দ্ব সমাসে সমস্যমান পদগুলির মধ্যে একটি অবশিষ্ট থাকে এবং বাকিগুলি লোপ পায়, তাকে একশেষ দ্বন্দ্ব সমাস বলে। উদাহরণ: আমি, তুমি ও সে = আমরা।
সমার্থক দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ দাও।
উঃ বন ও জঙ্গল = বনজঙ্গল।
বিপরীতার্থক দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ দাও।
উঃ আকাশ ও পাতাল = আকাশ-পাতাল।
সহচর দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ দাও
উঃ টেবিল ও চেয়ার = টেবিল-চেয়ার।
উপপদ কাকে বলে?
উঃ কৃদন্ত পদের পূর্ববর্তী নামপদকে উপপদ বলে। উপপদ তৎপুরুষ সমাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করো।
সমাস সম্পর্কে বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করো।
বাক্য থেকে ছোট প্রশ্ন ও উত্তর
বাক্যের কয়টি অংশ ও কী কী?
উঃ বাক্যের দুটি অংশ: উদ্দেশ্য ও বিধেয়।
বাক্য নির্মাণের শর্তগুলি কী কী?
উঃ বাক্য গঠনের তিনটি শর্ত: আকাঙ্ক্ষা, যোগ্যতা ও আসত্তি।
আকাঙ্ক্ষা কাকে বলে?
উঃ বাক্য গঠনের যে শর্তে শ্রোতার আরও কিছু শোনার আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়, তাকে আকাঙ্ক্ষা বলে।
আসত্তি কথার অর্থ কী?
উঃ আসত্তি কথার অর্থ হল নৈকট্য।
যোগ্যতা বলতে কী বোঝো?
উঃ বাক্য গঠনের যে শর্তে বাক্যের ভাবটি বাস্তব অভিজ্ঞতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হয়, তাকে যোগ্যতা বলে।
উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের প্রসারক চিহ্নিত করো: "রামবাবুর বড় ছেলে সুমন প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করতে মাঠে যায়।"
উঃ উদ্দেশ্যের প্রসারক: "রামবাবুর বড় ছেলে"। বিধেয়ের প্রসারক: "প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করতে মাঠে"।
গঠন অনুসারে বাক্য কত প্রকার?
উঃ গঠন অনুসারে বাক্য চার প্রকার। যথা: সরল বাক্য, জটিল বাক্য, যৌগিক বাক্য ও মিশ্র বাক্য।
অর্থ অনুসারে বাক্য কত প্রকার?
উঃ অর্থ অনুসারে বাক্য সাত প্রকার। যথা: নির্দেশক, অনুজ্ঞা, প্রশ্নসূচক, আবেগসূচক, প্রার্থনাসূচক, সন্দেহবাচক, শর্তসাপেক্ষ।
বাক্যের মধ্যে কত প্রকার গুচ্ছ দেখা যায়?
উঃ তিন প্রকার। যথা: বিশেষ্য গুচ্ছ, ক্রিয়া গুচ্ছ, ক্রিয়াবিশেষণ গুচ্ছ। গুচ্ছ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করো।
নির্দেশক বাক্য কাকে বলে?
উঃ যে বাক্যে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়, তাকে নির্দেশক বাক্য বলে।
অনুজ্ঞাসূচক বাক্য কাকে বলে?
উঃ যে বাক্যে আদেশ, অনুরোধ বা উপদেশ বোঝানো হয়, তাকে অনুজ্ঞাসূচক বাক্য বলেে।
উঃ বাক্যের দুটি অংশ: উদ্দেশ্য ও বিধেয়।
বাক্য নির্মাণের শর্তগুলি কী কী?
উঃ বাক্য গঠনের তিনটি শর্ত: আকাঙ্ক্ষা, যোগ্যতা ও আসত্তি।
আকাঙ্ক্ষা কাকে বলে?
উঃ বাক্য গঠনের যে শর্তে শ্রোতার আরও কিছু শোনার আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয়, তাকে আকাঙ্ক্ষা বলে।
আসত্তি কথার অর্থ কী?
উঃ আসত্তি কথার অর্থ হল নৈকট্য।
যোগ্যতা বলতে কী বোঝো?
উঃ বাক্য গঠনের যে শর্তে বাক্যের ভাবটি বাস্তব অভিজ্ঞতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হয়, তাকে যোগ্যতা বলে।
উদ্দেশ্য ও বিধেয়ের প্রসারক চিহ্নিত করো: "রামবাবুর বড় ছেলে সুমন প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করতে মাঠে যায়।"
উঃ উদ্দেশ্যের প্রসারক: "রামবাবুর বড় ছেলে"। বিধেয়ের প্রসারক: "প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করতে মাঠে"।
গঠন অনুসারে বাক্য কত প্রকার?
উঃ গঠন অনুসারে বাক্য চার প্রকার। যথা: সরল বাক্য, জটিল বাক্য, যৌগিক বাক্য ও মিশ্র বাক্য।
অর্থ অনুসারে বাক্য কত প্রকার?
উঃ অর্থ অনুসারে বাক্য সাত প্রকার। যথা: নির্দেশক, অনুজ্ঞা, প্রশ্নসূচক, আবেগসূচক, প্রার্থনাসূচক, সন্দেহবাচক, শর্তসাপেক্ষ।
বাক্যের মধ্যে কত প্রকার গুচ্ছ দেখা যায়?
উঃ তিন প্রকার। যথা: বিশেষ্য গুচ্ছ, ক্রিয়া গুচ্ছ, ক্রিয়াবিশেষণ গুচ্ছ। গুচ্ছ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করো।
নির্দেশক বাক্য কাকে বলে?
উঃ যে বাক্যে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়, তাকে নির্দেশক বাক্য বলে।
অনুজ্ঞাসূচক বাক্য কাকে বলে?
উঃ যে বাক্যে আদেশ, অনুরোধ বা উপদেশ বোঝানো হয়, তাকে অনুজ্ঞাসূচক বাক্য বলেে।
প্রশ্ন: প্রার্থনাসূচক বাক্য কাকে বলে?
উত্তর: যে বাক্যের দ্বারা বক্তার মনের ইচ্ছা প্রকাশিত হয়, তাকে প্রার্থনাসূচক বাক্য বলে।
বাচ্য থেকে প্রশ্নোত্তর
১: প্রশ্ন: ঘটক কর্তৃবাচ্য কাকে বলে?
উত্তর: যে বাচ্যে ক্রিয়ার প্রকৃত সম্পাদকই বাক্যে কর্তার স্থানে থাকে, তাকে ঘটক কর্তৃবাচ্য বা সম্পাদক কর্তৃবাচ্য বলে।
২: প্রশ্ন: আধুনিক ধারণায় বাচ্য কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তর: আধুনিক ধারণায় বাচ্য দুই প্রকার: কর্তৃবাচ্য ও ভাববাচ্য।
বাংলা ব্যাকরণের বিভিন্ন ভিডিও দেখার জন্য আমাকে YouTube-এ সাবস্ক্রাইব করতে এখানে ক্লিক করো।
আরও পড়ো
Comments
Post a Comment