খেয়া কবিতার মূল ভাব
খেয়া কবিতার সারাংশ বা ভাবার্থ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'খেয়া' কবিতায় বাংলাদেশের একটি অতি সাধারণ গ্রামীণ চিত্রের মাধ্যমে মানব জীবন ও মানব সভ্যতার এক নিগূঢ় সত্যকে তুলে ধরা হয়েছে। নদীর দুই তীরে দু খানি গ্রাম। নিত্য দিনের নানা প্রয়োজনে দুই গ্রামের মানুষ খেয়া নৌকায় করে এপার থেকে ওপারে যাতায়াত করে। বিপুলা পৃথিবীতে যুগে যুগে মানুষে মানুষে কত দ্বন্দ্ব, কত যুদ্ধ ঘটে চলেছে। সে সবের প্রভাব এই দু খানি গ্রামের চিরন্তন জীবন-প্রবাহকে বিচলিত করতে পারে না। রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কত সাম্রাজ্যের পতন ঘটে, কত নূতন ইতিহাস রচিত হয়। মানব সভ্যতার নিত্য নতুন চাহিদা মেটানোর জন্য একদিকে যেমন আবিষ্কৃত হয় অমৃততুল্য কল্যাণকর জিনিস, তেমনি সৃষ্টি হয় অস্ত্র বা দূষণের মতো ক্ষতিকর জিনিস। কিন্তু সে সবের বাইরে সাধারণ মানুষের নিত্য দিনের কর্মপ্রবাহ এবং জন্ম-মৃত্যুর প্রবাহ কখনও থেমে থাকে না। 'খেয়া' কবিতায় "কেহ যায় ঘরে, কেহ আসে ঘর হতে।" পংক্তিটিতে মানুষের নিত্য দিনের যাওয়া আসা এবং জন্ম-মৃত্যুর যাওয়া আসা, উভয় বিষয়কেই বোঝানো হয়েছে।
Comments
Post a Comment