চিঠি - স্বামী বিবেকানন্দ

চিঠি রচনার নোটস


চিঠি রচনায় প্রকাশিত স্বামীজির স্বদেশচেতনার পরিচয় দাও

স্বামী বিবেকানন্দের লেখা 'চিঠি' শীর্ষক পত্রটি লেখা হয়েছিল স্বামীজির পরম ভক্ত শিষ্যা মিস মার্গারেট নোবেল তথা ভগিনী নিবেদিতাকে। এই চিঠিতে আমরা দেখতে পাই স্বামীজি তাঁর শিষ্যাকে ভারতবর্ষে এসে ভারতবাসীর সেবা করার জন্য প্রেরিত করছেন।


এই চিঠিতে স্বামীজির বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে পড়লে তাঁর এই মুষ্টিমেয় কয়েকটি কথার ভিতরেই খুঁজে পাওয়া যাবে অকৃত্রিম স্বদেশচেতনা। স্বামীজি তাঁর দেশকে ভালোবাসেন কিন্তু সে ভালোবাসা অন্ধ নয়। তিনি তাঁর স্বদেশের দুর্বলতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তিনি জানেন এই দেশের মানুষ কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং জাতিভেদ বিষয়ে তাদের ধারণা উৎকট। এদেশীয় মানুষ শ্বেতাঙ্গদের ভয়ে ও ঘৃণায় এড়িয়ে চলে। চিঠিতে স্বামীজির বক্তব্য অনুসরণে এও জানা যায় যে ভারতীয় নারীকুলের অগ্রগতির বিষয়ে তিনি খুবই আন্তরিক। তিনি জানেন, নারীর অগ্রগতি ছাড়া দেশের অগ্রগতি সম্ভব নয়। তাই এ দেশের নারীমুক্তির জন্য নিবেদিতার মতো একজন উপযুক্ত নারী, একজন প্রকৃত সিংহীকে কতখানি প্রয়োজন, স্বামীজি তা অকপটে বলেছেন। 


পরিশেষে বলা যায়, বিবেকানন্দের শয়নে, স্বপনে, জাগরণে ভারতবর্ষ ছাড়া আর কোনো ভাবনা ছিলো না। তাই তাঁর শ্রেষ্ঠ শিষ্যাকে ভারতবর্ষে আহ্বান করার পত্রখানিতেও শেষ পর্যন্ত ভারতের মঙ্গলচিন্তাই প্রধান উপজীব্য হয়ে উঠেছে।


আর‌ও পড়ো

আবহমান কবিতার আলোচনা

Comments

Popular Posts